IP Calling System (আইপি কলিং) এর নাড়িভুঁড়ি – আইপি কলিং সিস্টেমের সুবিধা ও অসুবিধা দেখে নিন
হ্যালো ফ্রেন্ড, আসসালামু আলাইকুম। কেমন আছেন সবাই? আশা করি সকলে ভালো আছেন। আপনাদের দোয়া এবং ভালোবাসা আমি মোটামুটি ভালোই আছি। অনেকদিন পর আপনাদের জন্য নতুন একটি আর্টিকেল নিয়ে হাজির হলাম। আশা করি আজকে আর্টিকেলটা আপনাদের খুবই ভালো লাগবে,
আইপি কোলিং অ্যাপগুলোর সম্পর্কে বিস্তারিত
বাংলাদেশে বর্তমানে আলাপ (Alaap), ব্রিলিয়ান্ট কানেক্ট (Brilliant Connect), ডায়াল (Dial) এবং আম্বার আইটি (Amber IT) আইপি কলিং অ্যাপ গুলো চালু আছে।
প্রত্যেক আইপি কলিং অ্যাপ গুলোতে সকল সার্ভিস চার্জ বাদে কলরেট ৪০ পয়সা/মিনিট এবং সকল সার্ভিস চার্জ সহ কলরেট ৪৬ পয়সা/মিনিট!
তবে ব্রিলিয়ান্ট কানেক্ট (Brilliant Connect) অ্যাপে তাদের ভেরিফায়েড এজেন্ট থেকে রিচার্জ (১০-যেকোনো অ্যামাউন্ট) করলে ১০% থেকে ২০% পর্যন্ত বোনাস পাওয়া যায়। এবং ডায়াল (Dial) অ্যাপে নির্দিষ্ট কিছু অ্যামাউন্ট রিচার্জ করলে মিনিট বোনাস পাওয়া যায়। এছাড়া আম্বার আইটি (Amber IT) অ্যাপে বিকাশ থেকে রিচার্জ করলে ২০% বোনাস পাওয়া যায়। Tong থেকে আলাপে রিচার্জ করলে ২০% বোনাস পাওয়া যায়।
প্রত্যেক আইপি কলিং অ্যাপ ব্যবহার করতে ইন্টারনেট সংযোগ থাকতে হবে এবং এনআইডি দিয়ে ভেরিফাই করতে হবে। তবে আলাপ এবং আম্বার আইটি অ্যাপে এনআইডির ছবি সহ এনআইডিতে থাকা চেহারা দিয়েও ফেস স্ক্যান করে ভেরিফাই করতে হবে।
সকল আইপি কলিং অ্যাপ থেকে অ্যাপে কল এবং মেসেজ ফ্রি। এছাড়া আইপি কলিং অ্যাপ থেকে যেকোনো টেলিফোন নাম্বারে কল ফ্রি❗
আইপি কলিং ব্যবহার করতে যা যা দরকার হবে:
- আইপি কলিং এর সুবিধা পেতে হলে ক্রেডিট ব্যবহার করতে হয়, যা টাকা দিয়ে কিনতে হয়।
- অবশ্যই তাকে একজন বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে।
- বাংলাদেশী ভোটার আইডি কার্ড থাকতে হবে।
- ব্যবহারকারীকে অবশ্যই বাংলাদেশের ভিতরে থাকতে হবে, কারণ আইপি কলিং সিস্টেম আইপি ট্র্যাকিং করার মাধ্যমে শুধু বাংলাদেশের ভিতরে কলগুলো এলাও (Allow) করে।
- অবশ্যই ইন্টারনেট কানেকশন থাকতে হবে। প্রত্যেক আইপি কলিং প্রভাইডার এর নিজস্ব অ্যাপ্স ডিভাইস ইনস্টল থাকতে হবে।
একজন ব্যবহারকারীর উপর সবগুলো প্রয়োগ করার সামর্থ্য থাকলেই এসে আইপি কলিং সিস্টেম ব্যবহার করতে পারবেন।
Positive: আইপি কলিং সিস্টেমের সুবিধা
- এতে করে ব্যবহারকারীরা খুব কম অর্থ খরচের মাধ্যমে উচ্চমানের কলিং সুবিধা নিতে পারবে।
- নিজস্ব একাউন্টগুলোর মধ্যে কলিং কিংবা কমিউনিকেশনের জন্য আলাদা কোন অর্থ প্রদান করতে হবে না।
- সকল অপারেটরের ক্ষেত্রে আউটগোয়িং কলের চার্জ সমান।
- আইপি কোলিং ফিচার ব্যবহারের সাহায্যে ব্যবহারকারীর কোন প্রকার ফিজিক্যাল সিম কার্ডের প্রয়োজন হয় না।
- বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানিক হেল্পলাইন গুলোর সাথে বিনামূল্যে কথা বলা যায়।
- এপ্লিকেশন গুলোতে ক্রেডিট টপআপ করার সময় বিভিন্ন রকম ক্যাশব্যাক এবং বোনাস অফার দিয়ে থাকে।
Negative: আইপি কোলিং সিস্টেমের অসুবিধা
অনেকগুলো সুবিধার পাশাপাশি আইপি কলিং সিস্টেমে অনেকগুলো অসুবিধাও রয়েছে। নিচে ব্যবহারকারীদের সতর্কতার জন্য অসুবিধা গুলো তুলে ধরা হলো,
- সিস্টেমের সাহায্যে দেশের বাইরের কোন ব্যক্তির সাথে কথা বলা যায় না।
- বিভিন্ন সময় শর্ট মেসেজ সার্ভিস (এসএমএস) এক্ষেত্রে বেশি অর্থ কেটে থাকে।
- সবচেয়ে বেশি সমস্যা হয় যখন ইন্টারনেট কানেকশন থাকে না, ইন্টারনেট কানেকশন না থাকলে এই অ্যাপ্লিকেশন গুলোর সাহায্যে কোন প্রকার কমিউনিকেশন করা সম্ভব নয়।
- এই অ্যাপ্লিকেশন গুলোতে বেশিরভাগ সময় তথ্য হয়রানীর আশঙ্কা থাকে, কারণ এপ্লিকেশনগুলোর ডিরেক্ট জাতীয় ভোটার কার্ডের ছবি দিয়ে তথ্য ভেরিফিকেশন করে।
- যেহেতু নাম্বার গুলো সাধারন নাম্বারের থেকে আলাদা সেহেতু এই সার্ভিস ব্যবহার করে অনেক প্রতারক বিভিন্ন প্রতারণামূলক কাজ খুব সহজেই করতে পারে।
- ইন্টারনেট কানেকশন বন্ধ থাকলে অ্যাপের নাম্বারে কেউ ফোন করলে অর্থাৎ ইনকামিং কল আসবে না।
উপরে আইপি কলিং সিস্টেমের সকল নারিভুরি নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা হলো। এবার আপনারা নিজেরাই বিবেচনা করে দেখবেন আইপি কলিং সিস্টেম আপনাদের ব্যবহারের কতটা উপযোগী। আপনাদের ভালো লাগলে অবশ্যই ব্যবহার করবেন কিন্তু ব্যবহার করার আগে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন।
আজকের আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
এখানেই শেষ করছি, সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং আমাদের সাথেই থাকবেন। পড়ালেখার কারণে ব্যস্ত আছি তাই কিছুদিন নিয়মিত আর্টিকেল দিতে পারব না, সবাই ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।